শিশুর বেড়ে ওঠার সময় তাদের শরীর ও মস্তিষ্ক সঠিকভাবে বিকশিত হওয়ার জন্য পুষ্টিকর খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিক খাবার শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, বরং পড়াশোনা, খেলাধুলা ও মানসিক বিকাশেও সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু অপরিহার্য খাবার রাখা উচিত।
১. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ শিশুদের জন্য প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস। এটি হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে। দুধের পাশাপাশি দই ও পনিরও ভালো পুষ্টি সরবরাহ করে।
২. শাকসবজি
সবুজ শাক ও রঙিন সবজি যেমন—পালং শাক, গাজর, লাল শাক, টমেটো, ব্রকোলি ইত্যাদিতে ভিটামিন এ, সি, কে ও আয়রন থাকে। এগুলো চোখ, ত্বক এবং রক্ত গঠনে সহায়তা করে।
৩. ফল
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মৌসুমি ফল যেমন আম, কলা, আপেল, পেয়ারা, কমলা রাখা জরুরি। ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও আঁশ শিশুর হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরকে শক্তি জোগায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের কৌশল
এগুলোতে প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ছোট মাছ ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
৫. ডাল ও বাদাম
ডালে প্রচুর প্রোটিন ও আয়রন রয়েছে। বাদাম ও চিনাবাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই ও মিনারেল থাকে, যা শিশুদের মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৬. ভাত, রুটি ও শস্যজাত খাবার
চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস বা ভুট্টা শিশুদের জন্য জটিল কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে, যা দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি দেয়।
৭. পর্যাপ্ত পানি
পানি শিশুদের শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক রাখে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খাওয়ানো জরুরি।