হোমস্বাস্থ্যঅতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ক্ষতি ও বিকল্প উপায়
অতিরিক্তওষুধসেবনেরক্ষতিওবিকল্পউপায়
ওষুধ আমাদের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে প্রয়োজনের বাইরে বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আধুনিক সময়ে সামান্য মাথাব্যথা, ঠান্ডা, কাশি, এমনকি সামান্য জ্বরেও অনেকেই নিজে থেকেই ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে নানা জটিল স্বাস্থ্যসমস্যার জন্ম দেয়।
অতিরিক্তওষুধসেবনেরক্ষতি
অ্যান্টিবায়োটিকরেজিস্ট্যান্স:
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, ভবিষ্যতে গুরুতর রোগেও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ নাও করতে পারে।
যকৃতওকিডনিরক্ষতি:
অতিরিক্ত ব্যথানাশক বা জ্বরের ওষুধ যকৃত ও কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং ধীরে ধীরে অঙ্গগুলো বিকল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
অ্যালার্জিওপার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
অনেক ওষুধে ত্বকে ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট বা হঠাৎ শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
পেটেরসমস্যা:
গ্যাস্ট্রিক, আলসার, হজমের সমস্যা ইত্যাদি অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার সাধারণ ক্ষতি।
মানসিকপ্রভাব:
কিছু ওষুধ স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে; অতিরিক্ত সেবনে অনিদ্রা, মাথা ঘোরা বা হতাশা দেখা দিতে পারে।
বিকল্পউপায়
প্রাকৃতিকপ্রতিকার:
মাথাব্যথায় বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি পান, ঠান্ডা পানির সেঁক।
সর্দি-কাশিতে আদা, মধু, লেবুর পানীয়।
হালকা জ্বরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও তরল খাবার।
সুষমখাদ্যাভ্যাস:
ভিটামিন ও মিনারেলে সমৃদ্ধ খাবার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে অল্প অসুখে বারবার ওষুধের প্রয়োজন হয় না।
নিয়মিতব্যায়াম:
শরীরকে সক্রিয় রাখে, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পর্যাপ্তঘুমওমানসিকস্বস্তি:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ কমানো ছোটখাটো অসুখ দ্রুত সারতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকেরপরামর্শ:
যেকোনো ওষুধ নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিজে থেকে ওষুধ না খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।