প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কোন ভুলগুলো আমরা করছি?

সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্যস্ত জীবনযাত্রা, সময়ের অভাব, কিংবা অজ্ঞতার কারণে আমরা অনেকেই প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু ভুল করে থাকি, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেই, এই সাধারণ ভুলগুলো কী কী:

. সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া

অনেকেই ওজন কমানোর চেষ্টা করতে গিয়ে কিংবা সময়ের অভাবে সকালে কিছু না খেয়েই কাজ শুরু করেন। এটি একদমই ঠিক নয়। সকালের খাবার আমাদের দিনের প্রথম শক্তির উৎস, যা মেটাবলিজম সচল রাখে এবং মনোযোগ ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

. অতিরিক্ত তেল ভাজাপোড়া খাওয়া

প্রতিদিনের রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার কিংবা ঘন ঘন ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে ওজন বাড়ে, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া

অনেকেই ব্যস্ততার কারণে বা অভ্যাসবশত দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, কিডনির কার্যকারিতা কমে, এবং ত্বক ও হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

. প্রক্রিয়াজাত খাবারে নির্ভরতা

চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, কোল্ড ড্রিঙ্কস, এবং প্যাকেটজাত খাবারে অতিরিক্ত চিনি, লবণ এবং রাসায়নিক থাকে যা দীর্ঘমেয়াদে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং বিভিন্ন জটিল রোগের জন্ম দেয়।

. খাওয়ার সময় মনোযোগ না দেওয়া

অনেকেই মোবাইল দেখেন, টিভি দেখেন বা কাজ করতে করতেই খেয়ে ফেলেন। এতে খাবার হজমে সময় লাগে বেশি এবং পেট ভর্তি না হলেও মনে হয় হয়ে গেছে, কিংবা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে যায়।

. পর্যাপ্ত ফল সবজি না খাওয়া

আমাদের খাদ্যতালিকায় দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফল থাকা প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই এগুলো এড়িয়ে চলেন, ফলে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল থেকে বঞ্চিত হয়।

. একসাথে অনেক বেশি খেয়ে ফেলা

অনেক সময় আমরা একসাথে অনেক বেশি খেয়ে ফেলি, বিশেষ করে রাতের বেলায়। এটি হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং ওজন বাড়ায়। বরং বারবার অল্প অল্প করে খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

. মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া

মিষ্টি খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, মিষ্টি পানীয় ইত্যাদি অতিরিক্ত খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিস, দাঁতের সমস্যা এবং স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।

 # করণীয় কী?

  • সময়মতো এবং পরিমিত পরিমাণে খাওয়া
  • ঘরোয়া, টাটকা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান
  • ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো
  • খাবারের সময় একাগ্রতা বজায় রাখা
  • ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিঙ্কস ও অতিরিক্ত মিষ্টি পরিহার করা

 

bn_BDBengali