বাংলাদেশ একটি ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত আর বসন্ত—প্রতিটি ঋতুরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। এই পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শরীরেও প্রভাব পড়ে। তাই প্রতিটি ঋতুতে সুস্থ থাকতে আলাদা কিছু সতর্কতা ও অভ্যাস জরুরি। নিচে ঋতুভিত্তিক স্বাস্থ্য টিপস দেওয়া হলো—
গরমে শরীরে পানিশূন্যতা, হিট স্ট্রোক, ঘামাচি ও দুর্বলতা বেশি দেখা যায়।
টিপস:
প্রচুর পানি, ফলের রস, ডাবের পানি পান করুন।
হালকা, সুতির কাপড় পরুন।
ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত ঝাল-মসলা এড়িয়ে চলুন।
রোদে বের হলে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন।
এই সময় ডায়রিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গু ও চর্মরোগের ঝুঁকি থাকে।
টিপস:
বিশুদ্ধ পানি পান করুন এবং খাবার ঢেকে রাখুন।
জমে থাকা পানি এড়িয়ে চলুন, মশার কামড় থেকে বাঁচুন।
ভেজা কাপড় বেশি সময় শরীরে রাখবেন না।
হালকা গরম খাবার ও হালকা ব্যায়াম করুন।
বর্ষার পর আবহাওয়া খানিকটা শুষ্ক হয়, অ্যালার্জি ও সর্দি–কাশি বাড়তে পারে।
টিপস:
সুষম খাবার ও প্রচুর পানি পান করুন।
ধুলাবালি থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
মৌসুমি ফল খান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে।
এ সময়ে আবহাওয়া ঠান্ডা হতে শুরু করে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
টিপস:
লোশন বা নারকেল তেল ব্যবহার করে ত্বক আর্দ্র রাখুন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম করুন।
ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ খাবার খান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে।
শীতে সর্দি–কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং জয়েন্টে ব্যথা বেড়ে যায়।
টিপস:
শাকসবজি, গাজর, খেজুর, দুধ ও গরম স্যুপ খান।
উষ্ণ পোশাক পরুন এবং গরম পানি পান করুন।
রোদে বসুন, এতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করে শরীর গরম রাখুন।
এ সময় গরম-ঠান্ডার মিশ্রণে ফ্লু ও অ্যালার্জি বেশি হয়।
টিপস:
হালকা ও সুষম খাবার খান।
প্রচুর ফলমূল খেয়ে শরীরকে ডিটক্স করুন।
ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন, প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।