অতিরিক্ত চিন্তা কমানোর ৭টি কার্যকরী কৌশল

আজকের ব্যস্ত এবং প্রতিযোগিতামূলক জীবনে অতিরিক্ত চিন্তা (Overthinking) একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মস্তিষ্ক বিশ্রাম নিতে চায়, কিন্তু চিন্তার স্রোত যেন কখনো থামতেই চায় না। আর এই অতিরিক্ত চিন্তাই ধীরে ধীরে উদ্বেগ (anxiety), ঘুমের সমস্যা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি এমনকি মানসিক রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

তবে সুখবর হলো—সচেতনভাবে কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। চলুন জেনে নিই অতিরিক্ত চিন্তা কমানোর ৭টি কার্যকরী কৌশল।

🟢 . চিন্তাগুলোকে লিখে ফেলুন

যখন মাথায় হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খায়, তখন তা কাগজে লিখে ফেললে মস্তিষ্ক কিছুটা হালকা হয়। এটি এক ধরনের “mental unloading”। প্রতিদিন ৫–১০ মিনিট ডায়েরি লেখার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে চিন্তাগুলো গোছানো হয় এবং প্রয়োজনহীন চিন্তা দূর হয়।

🟢 . মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন চর্চা করুন

মাইন্ডফুলনেস মানে হলো বর্তমান মুহূর্তে থাকা। প্রতিদিন কিছু সময় চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দিন। শুরুতে ৫ মিনিট করলেও চলবে। এটি আপনার চিন্তার ভিড় কমিয়ে মনকে প্রশান্ত করতে সাহায্য করবে।

🟢 . সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না

অনেক সময় অতিরিক্ত চিন্তার মূল কারণ হলো সবকিছু একাই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা। মনে রাখবেন, আপনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। যা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, সেটিকে মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

আরও পড়ুনঃ

চুল  ত্বকের যত্নে ভেষজের ব্যবহার

 

🟢 . ‘What if’ চিন্তা থামান

“যদি ব্যর্থ হই?”, “যদি ও আমাকে অপছন্দ করে?” — এসব ভাবনা মানসিক চাপ বাড়ায়। নিজেকে প্রশ্ন করুন—এই চিন্তাগুলোর আসলে কোনো প্রমাণ আছে কি? প্রমাণ ছাড়া নেতিবাচক ধারণা করা মানে নিজের উপর অন্যায় করা।

🟢 . শরীরচর্চা করুন

ব্যায়াম কেবল শরীরের জন্য নয়, মনকে শান্ত রাখতেও দারুণ কার্যকর। প্রতিদিন অন্তত ২০–৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি, জগিং বা হালকা এক্সারসাইজ করলে মস্তিষ্কে “হ্যাপি হরমোন” (যেমন: endorphin) নিঃসরণ হয়, যা চিন্তা কমায়।

🟢 . সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস গড়ুন

অনেকেই একটি ছোট সিদ্ধান্ত নিতেও বারবার চিন্তা করেন। চেষ্টা করুন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস গড়তে। এতে আপনি আত্মবিশ্বাসী হবেন এবং অহেতুক চিন্তা থেকেও মুক্ত থাকবেন।

🟢 . নিজের প্রতি সদয় হোন

অতিরিক্ত চিন্তা অনেক সময় আসে নিজেকে তুচ্ছ ভাবার কারণে। মনে রাখবেন, ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক গুণ। নিজেকে ছোট না ভেবে নিজের ভালো দিকগুলো নিয়ে ভাবুন। নিজেকে ভালোবাসতে শিখলে অকারণ চিন্তা কমে যাবে।

 

en_USEnglish