ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের জন্য যা করছে হামদর্দ
বিশ্বের মজলুম জনপদ ফিলিস্তিনের উপর চলছে একের পর এক ভয়াবহ আগ্রাসন ও গণহত্যা। প্রতিদিনই হত্যার শিকার হচ্ছেন নিরিহ মানুষ, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। একদিনে যেমন দেশটি এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে, অন্যদিকে তীব্র খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছে সেখানকার মানুষ। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবার অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ বর্তমানে মানবসেবার নানামুখী কাজ করছে। ওয়াক্ফ লিল্লাহ প্রতিষ্ঠান হওয়ায় হামদর্দের অর্জিত আয়ের বিপুল অংশ ব্যয় করা হচ্ছে মানুষের কল্যাণে। ড. হাকীম মো. ইউছুফ ভূঁইয়া’র নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই হামদর্দ বাংলাদেশ এসব কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে মানুষের কাছে বিশ্বস্ত হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। এ কারণে ফিলিস্তিনের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতিও স্পর্শ করেছে হামদর্দ পরিবারকে। এ কারণে হামদর্দের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লী ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া’র নির্দেশনায় এবং সিনিয়র পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং পরিচালক বিপণন (অ.দা) অধ্যাপক হাকীম কামরুন নাহার হারুনের উদ্যোগে ঢাকাস্থ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউছুফ এস ওয়াই রমাদানের হাতে তিরিশ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।
হামদর্দ পরিবারের সদস্যদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং শরবত রুহ্ আফজার বিক্রয়লব্ধ অর্থের একটি অংশ থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য প্রদান করা অর্থ অনুদান নয়, বরং ভালোবাসা ও প্রীতির স্মারক মনে করে হামদর্দ। সেবা ও সহমর্মিতা নিয়ে সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পাশে থাকবে হামদর্দ বাংলাদেশ। অব্যাহতভাবে সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে অধ্যায়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া তার পিতা ছায়েদ উল্লাহ ভূঁইয়া’র নামে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তিও দেবেন। পাশাপাশি আসন্ন ঈদ-উল আযহায় মিশরে উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য পশুকোরবানীসহ খাদ্য সহায়তা দেবো আমরা। এছাড়া সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশে চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রীপ্রাপ্ত কয়েকজন ফিলিস্তিনি চিকিৎসককে চাকুরি দিচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ। এসব কাজে হামদর্দের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা করছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন।
ফিলিস্তিনি জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে সাধ্যমতো থাকার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের পক্ষে পুরো বিশ্ব ও বিশ্বের মানুষ সহমর্মিতা নিয়ে দাঁড়াক, এই আমাদের প্রত্যাশা।