ইউনানী আয়ুর্বেদিক বোর্ডের বিভিন্ন বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত: মেধাতালিকায় হামদর্দের প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীরা

———————————————————————-
বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন এর পরীক্ষা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে গত ১০ সেপ্টেম্বর হতে অনুষ্ঠিত বোর্ডের অধীনস্থ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক কলেজসমূহের ডিএএমএস (ডিপ্লোমা ইন আয়ুর্বেদিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী) এবং ডিইউএমএস (ডিপ্লোমা ইন ইউনানী মেডিসিন এন্ড সার্জারী) কোর্সের বিভিন্ন বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক এম.পি এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের অন্যতম সদস্য, হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ ইউনানী মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন (বামা)’র সভাপতি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, পরীক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান হাকীম আ.খ. মাহবুবুর রহমান, বামা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান, বোর্ডের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মিজানুর রহমান।
ডিএএমএস এর চূড়ান্ত বর্ষে নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক, ঢাকা এর সুমি আক্তার রোল নং-ম ১৩১৪ প্রথম, নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক, ঢাকা-এর ফারজানা-তুজ-জোহরা, রোল নং-ম ১৩১১ দ্বিতীয় এবং নূর মজিদ আয়ুর্বেদিক, ঢাকা-এর, মোহাম্মদ আশিক ইকবাল রোল নং-১৩১৩ তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। ডিএএমএম কোর্সে পাশের হার শতকরা ৮৭.৬৬। ডিইউএমএস কোর্সের চূড়ান্ত বর্ষে হামদর্দ ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়া’র স্বরনী আকতার, রোল নং-ম ২৬৩৬ প্রথম, তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজ, ঢাকা-এর মো. শামীম আখতার, রোল নং-২৪৩৯ দ্বিতীয়, হামদর্দ ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল বগুড়া’র মোছাম্মত সীমা আক্তার, রোল নং-ম ২৬৩৭ তৃতীয় (যুগ্ম), সরকারি তিব্বিয়া কলেজ, সিলেট-এর হাবিবা হক মীম, রোল নং-ম ২৪১৩ তৃতীয় (যুগ্ম) স্থান অর্জন করেন। ডিইউএমএস কোর্সে পাশের হার শতকরা ৮৫.৮৪।
বাংলাদেশে ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষার প্রসারে ইতোমধ্যে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও এ্যালোপ্যাথিক এই তিন সিস্টেমের ত্রিমাত্রিক চিকিৎসালয় হামদর্দ জেনারেল হাসপাতাল। পাশাপাশি হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিইউএমএস ও বিএএমএস কোর্সের মাধ্যমে ইউনানী আয়ুর্বেদিক খাতে উচ্চশিক্ষার সুবর্ণ দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে।